রমজানের লাইফস্টাইলের খুঁটিনাটি
পবিত্র রমজান মাস আসার সাথে সাথেই সবারই লাইফস্টাইলে একটু পরিবর্তন দেখা যায়। ঘুমের সময়সূচী থেকে শুরু করে, খাওয়া-দাওয়া, ক্লাস-অফিসের সময়সূচী সব কিছুই বদলে যায়। কিন্তু রমজানের লাইফস্টাইলের এই পরিবর্তনটা আমাদের প্রতিদিনের রুটিনটা একটু গোলমেলে করে দেয় এটা ঠিকই, তবে একটু সচেতন হলে সেই গোলমেলে ব্যাপারটা দূরে রাখা যায় সহজেই। কিভাবে? আসুন জেনে নিই।
ঘুমের ব্যাপার সেপার
রমজান মাসে ঘুমের রুটিনে পরিবর্তন আসে সবার আগে। রাতে ঘুমানোর কয়েকঘণ্টা পরেই আবার সেহরি করার জন্য উঠতে হয়। আবার সকালে ক্লাস-অফিস তো আছেই তাই সেহরির পর যে খুব বেশি ঘুমোতে পারবেন তাও না। কিন্তু কম ঘুম সারাটা দিন ধরেই আপনার মাঝে ঝিমানি একটা ভাব চলে আসবে আর তা প্রাভাব ফেলবে আপনার কাজে। তাই রমজানে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু আগেই ঘুমোতে চলে যান। ঘুমটা যদি হয় ভালো সারাটা দিন যাবে আরও ভালো।
সেহরির খাবারের তর-তারিকা
সেহরিতে কি খাবেন তা নিয়ে কতই না চিন্তাভাবনা। আবার অনেকেই অনেক কিছু বেছে বেছে খেয়ে থাকেন। কেউ ভাবে রোজার দিনে সারাদিন কিছু খাওয়া হবে না তাই যত পারি ইচ্ছেমত খেয়ে নিই। তবে এটা খুব ভুল ধারণা। হুম অবশ্যই পেট পুরে খাবেন তবে প্রোটিনযুক্ত, ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার একটু বেশি খান। এতে সারাদিন রোজা রাখছেন বলে সহজেই এনার্জি শেষ হবে না। অল্পতেই ক্লান্ত লাগবে না, রোজা রাখতেো পারবেন সহজে। আর অবশ্যই বেশি করে পানি খেতে একেবারেই ভুলবেন না।
ইফতারে থাকুক স্বাস্থ্যকর মেন্যু
সারাদিন রোযা রাখার পর যখনই ইফতারের সময় আসে তখনই ভাবেন কত কিছুই না খাবেন। তাই ইফতারের মেন্যুতে কত ধরণের খাবারই না রাখেন, কিন্তু দেখা যায় এর বেশিরভাগই ভাজাপোড়া টাইপের খাবার। সারাদিন পেট খালি থাকার পর ভাজাপোড়া যত খাবেন তা শরীরের জন্য তা ততই বিপদ ডেকে আনবে। ভাজাপড়া এড়িয়ে চলুন, চেষ্টা করুন ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার বেশি খেতে। এখন ফলের মৌসুম তাই প্রতিদিন ইফতারে ফলও খেতে পারেন। কোমল পানীয় ইফতারে না রেখে ফলের জুসও খেতে পারেন।
একটু সচেতনতা আর ইচ্ছাই পারে রমজানে আপনার লাইফস্টাইলটাকে আরও ভালো রাখতে। তবে সেহরি আর ইফতারের সময়সূচী ভালোভাবে জেনে রাখুন। আর তাই “অপেরা” আপনাদের সুবিধার জন্য প্রতিদিনের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী জানিয়ে থাকে ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে। সেহরি আর ইফতারের সময়সূচী জানতে চোখ রাখুন অপেরার ফেইসবুক পেইজে।
ব্লগটি লিখেছেন –সৈয়দ মোহাম্মাদ আবু দারদা।